দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় এক বিতর্কিত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যুদ্ধকালীন শান্তি কমিটির সভাপতি আজাহার উদ্দীন খানের ব্যক্তিগত সহকারি মো. ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নামটি প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (২৬ আগস্ট) মির্জাগঞ্জ উপজেলাবাসীর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাখিল করা হয়েছে।
ওই অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, ওয়াজেদ আলী হাওলাদার একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মির্জাগঞ্জ থানার শান্তি কমিটির সভাপতি আজহার উদ্দীন খানের ব্যক্তিগত সহকারি ছিলেন। তৎকালীন সময়ে উপজেলার সুবিদখালী বাজারের শ্রী গৌরী কুন্ডের দোকান ও বসতঘর দখল করে রাজাকারদের অফিস বানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সুকৌশলে পাকবাহিনীর নির্যাতনের স্বীকার পঙ্গু ও স্মৃতি শক্তি বিহীন যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলতাফ হায়দারের স্বাক্ষর নিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। গত বছর দুই আগে আলতাফ হায়দার তার স্মৃতি শক্তি ফিরে পেয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিট করে ওয়াজেদ হাওলাদারের অপকর্মের কথা জানান। এ প্রসঙ্গে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ মল্লিক বরিশালটাইমসকে জানান, ওয়াজেদ আলী কোন মুক্তিযোদ্ধা নন। অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। তিনি শান্তি কমিটির উপজেলা সভাপতি আজাহার উদ্দীন খানের পিএস ছিলেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. ওয়াজেদ আলী হাওলাদার নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বরিশালটাইমসকে জানান, এটা হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রোশ। দীর্ঘদিন যাবত একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন লিখিত অভিযোগের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে কারো নাম বাদ দেয়া কিংবা অর্ন্তভূক্ত করার এখতিয়ার আমার নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply